কবুতর থেকে সুস্থ-সবল বাচ্চা পাওয়ার উপায় ২০২১।

কবুতর থেকে সুস্থ-সবল বাচ্চা পাওয়ার উপায় ২০২১।

কবুতর থেকে সুস্থ-সবল বাচ্চা পাওয়ার উপায় ২০২১।

 আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো কবুতর থেকে কিভাবে সুস্থথ-সব বাচ্চা পাবেন সেই সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।

আমরা অনেকেই সবসময় আমাদের কবুতর থেকে সুস্থ-সবল বাচ্চা উৎপাদন করতে ব্যারথ হই।সাফল্য ুমনি-এমনি আসেনা। সাফল্য পেতে হলে যোগ্যতা থাকতে হয়এটা মনে রাখবেন।কবুতর থেকে সুস্থ-সবল বাচ্চা পেতে হলে কবুতরকে সময় দিতে হবে যদি সময় না দিতে পারেন তাহলে কবুতর পালন আপনার জন্য না।কবুতর থেকে যদি সুস্থ-সবল বাচ্চাই উৎপাদন না হয় তাহলেতো পালাটাই অর্থহীন হয়ে যাবে।নতুনদের ক্ষেএে এই ব্যাপারগুলো অনেক বেশি দেখা যায় 

যেমনঃকবুতর ডিম পারছেনা,ডিম জমছেনা,ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যাচ্ছে ইত্যাদি।


এগুলো মুলত কোন সমস্যাই না যদি কিছু নিয়ম মেনে কবুতর পালন করা হয়।


তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই নিয়ম-কানুনঃ

১ঃকবুতরকে পর্যাপ্ত সময় দিন।

২ঃকবুতরকে অবশ্যই ২-৩ মাস অন্তর-অন্তর কৃমির ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।

৩ঃখাচার মাপ সঠিক হতে হবে যাতে নর-মাদি ভালোভাবে মেটিং বা যৌন মিলন করতে পারে।

৪ঃকবুতরকে নিয়মিত উন্নত মানের গ্রিট সরবরাহ করতে হবে।

৫ঃবাচ্চা নেওয়ার উদ্দেশ্যে কবুতরকে জোরা দেওয়ার আগে এবং কৃমির ঔষধ দেওয়ার অন্তত ১৫ দিন পর থেকে একটানা ৫ দিন MULTIVITAMIN বা E-SEL সরবরাহ করতে হবে।

৬ঃবিনা কারনে কবুতরকে বিরক্ত করা যাবেনা। এমনটা করা হলে কবুতর ডিমে তা নাও দিতে পারে বা বাচ্চাকে নাও খাওয়াতে পারে।

৭ঃআপনার খামার বা লফ্ট নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন,নিয়মিত বা ৫ দিন পরপর জীবানু নাশক প্রয়োগ করুন।

৮ঃকবুতরের শরীর পরজীবী বা উকুন মুক্ত রাখুন।

৯ঃডিমে ঠিক মতো তা দিচ্ছে কিনা তার দিকে নজর রাখুন বা খেয়াল রাখুন।

১০ঃবাচ্চা ফুটার পর থেকে (বাবা-মাকে) গুড়া বা ছোট খাবার সরবরাহ করুন 

যেমনঃচিনা,রেজা,শরীশা,বাজরা ইত্যাদি

১১ঃকবুতরের খামার বা লফ্টে যেন ইদুর,চিকা,সাপ,বেজি এগুলো ঢুকতে না পারে।

১২ঃবাচ্চা যেন একটা ছোট একটা বড় না হয়ে যায়

১৩ঃদুইটা বাচ্চাই যেন সমান খাবার পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

১৪ঃবাচ্চার বয়স (৭-১০) দিন হলে একটানা ৫ দিন CALPLEX এবং ZIS-VET দিতে হবে প্রতি লিটার পানিতে (২-৩) এম.এল. করে।

১৫ঃবাচ্চাকে নিয়মিত ৩০ মিনিটথেকে ১ ঘন্টা রোদে দিতে হবে।সকাল বেলার রোদে দিলে আরো ভালো।

১৬ঃসঠিক সময়ের আগে(বাবা-মার) কাছ থেকে আলাদা করা যাবেনা।

১৭ঃ(বাবা-মায়ের) কাছ থেকে আলাদা করার পর-পরই বাচ্চাকে বড় খাবার না দিয়ে গুড়া বা ছোট খাবার-ই চালিয়ে যান।

১৮ঃ(বাবা-মার) কাছ থেকে আলাদা করার পরে নিয়মিত পাকস্থলীতে হাত দিয়ে দেখতে হবে যে পর্যাপ্ত খাবার খেয়েছে কিনা।যদি না খেয়ে থাকে তাহলে খাইয়ে দিতে হবে।

১৯ঃবাচ্চার (বাবা-মা) থেকে আলাদা করেই অন্নান্য বড় কবুতরের সাথে রাখা যাবে না।

২০ঃকম বয়সি বাচ্চাকে উরানোর চেষ্টা করা যাবেনা

ইত্যাদি।


ডিমের ভিতরে আর বাচ্চা মারা যাবেনা 

ABOUT PIGEON


তথ্য সংগ্রহঃউইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।


প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।

সবার সুস্বাস্হ্য কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।

সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম। 

*****************THANK YOU*****************


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Hameco Ph কবুতরের সালমোনিলা বা প্যারাটাইফোয়েড রোগ এর চিকিৎসা ২০২১।

Boostbryd-N কবুতরের জন্য সেরা Multivitamin (মাল্টিভিটামিন) ২০২১।

কবুতরের ঠান্ডা বা সর্দি কাশির চিকিৎসা।