কবুতরের ম্যালোরিয়া কি কেন হয় এবং এর চিকিৎসা ২০২১।
আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো কবুতরের মারাত্বক রোগ ম্যালেরিয়া সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।
কবুতরের ম্যালেরিয়া মূলত Poroto Zoan-এর কারনে সংক্রমিত হওয়া একটি রোগ।এটি মূলত মশা বাহিত একটি রোগ। এই রোগ হলে কবুতরের রক্ত কণিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কবুতর তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায়।
কিভাবে সংক্রমিত হতে পারেঃ
১ঃমশার মাধ্যমে।
২ঃঅসুস্থ কবুতরের সংস্পর্শে আসলে।
৩ঃলফ্ট অপরিস্কার থাকলে।আ
৪ঃকরান্ত কবুতরের লালা এবং পায়খানার মাধ্যমে।
৫ঃআকরান্ত কবুতর যেই পাএে খাবার-পানি খায় ঐ পাএে সুস্থ কবুতরকে খাবার-পানি খাওয়ালে।
ইত্যাদি।
লক্ষনঃ
১ঃকবুতর শুকিয়ে যাবে এবং বুকের মাংসে প্রচুর খুসকি হবে।
২ঃহা করে নিশ্বাস নিবে।
৩ঃকবুতরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে।
৪ঃবমি করবে এবং হাপাবে।
৫ঃডানায় পানি আসতে পারে
৬ঃকবুতর চুপচাপ থাকবে।
৭ঃজ্বর আসতে পারে।
৮ঃসবুজ বা চুনা পায়খানা হতে পারে।
৯ঃশরীর শুষ্ক হয়ে যাবে।
১০ঃঠোট প্যাকাসে বর্নের হয়ে যাবে।
১১ঃলিভার বড় হয়ে যাবে।
প্রতিরোধঃ
১খামার বা লফ্টে জৈব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২ঃঅসুস্থ কবুতর খাবার বা লফ্টে প্রবেশ করানো যাবেনা।
৩ঃআকরান্ত কবুতরকে সুস্থ কবুতরের থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে হবে।
৪ঃখামারে জীবানু নাশক ব্যাবহার করতে হবে।
৫ঃঅসুস্থ কবুতর খাবার-পানি খায় এমন খাবার-পানির পাএে সুস্থ কবুতরকে খাআার-পানি খাওয়ানো যাবে না।
চিকিৎসাঃ
১ঃAvloqin(Chloroquine Phosphate) চার ভাগের এক ভাগ + Jasoprim (Primaquine) চার ভাগের এক ভাগ + ১গ্রাম গ্লুকোজ + ১গ্রাম স্যালাইন
১০ এম.এল. পানিতে মিশিয়ে দিতে তিন বার খাওয়াতে হবে।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিঃ
চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে কবুতরের শরীরে Vitamin-Minarel এর ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।
কবুতর টাল হলে করনীয় যানতে ক্লিক করুন
তথ্য সংগ্রহঃউইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।
প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।
সবার সুস্বাস্হ্য কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।
সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম।
*****************THANK YOU****************
মন্তব্যসমূহ