কবুতরের কৃমি কি কেন হয় এবং এর চিকিৎসা ২০২১।

আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো কবুতরের মারাত্বক সমস্যা কৃমি সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।


 কৃমি হলো নীরব ঘাতক একই সাথে মানুষ এবং অন্নান্য পষুপাখি এমনকি কবুতরের জন্যেও।

কৃমি অনেক প্রকার হতে পারে 

যেমনঃ

ফিতা কৃমি,গোল কৃমি,গুড়া কৃমি 

ইত্যাদি।

কৃমি যেহেতু কবুতরের অভ্যন্তরে বসবাস করে তাই কবুতর যে খাবার-পানি গ্রহণ করে তার পুষ্টিমান কবুতরের শরীরে ব্যাবহৃত না হয়ে কৃমির স্বাস্থ গঠনে ব্যাবহৃত হয়।কারন ঐ খাবারের প্রায় সকল খাবার-ই কৃমি খেয়ে নেয়। তাই কবুতর দিন-দিন দুর্বল হয়ে পরে। তখন যদি কবুতরকে অসুস্থ মনে করে কোন ঔষধ খাওয়ানো হয় তাতেও কোন কাজ হয়না বরং ক্ষতিটাই বেশি হয় কারন ঐ ঔষধের মাধ্যমে যে পুষ্টি আপনি কবুতরকে দিতে চাচ্ছেন তা আসলে খেয়ে নিচ্ছে কৃমি ফলে কৃমি আরো শক্তিশালী হয়ে তার তান্ডব চালাবে।তাই কবুতরকে যেকোন ঔষধ দেওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে যে কবুতরের কি কৃমি আছে কিনা যদি থাকে তাহলে কবুতরকে আগে কৃমি মুক্ত করে তারপরে অন্নান্য ঔষধ দিতে হবে।


কৃমি কেন হয়ঃ

১ঃঅপরিষ্কার খাবার-পানির কারনে।

২ঃলফ্ট অপরিস্কার থাকলে।

৩ঃছএাক যুক্ত খাবারের কারনে।

ইত্যাদি।


লক্ষনঃ

১ঃকবুতরের ওজন কমে যাবে।

২ঃপাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হবে।

৩ঃশ্বাস-প্রশ্বারে দুর্গন্ধ হতে পারে।

৪ঃমুখ দিয়ে শ্লেষা বের হবে। 

ইত্যাদি।


প্রতিরোধঃ

১খাবার-পানি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে পরিবেষন করতে হবে।

২ঃখামার বা লফ্ট প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে প্রতিদিন না পারলে সপ্তাতে অন্তত ৩ বার পরিষ্কার করতে হবে।

৩ঃখাবার বাজার থেকে কিনে আনার পরে পানি দিয়ে ভালে ভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে এবং অন্তত প্রতি ১৫ দিন পর-পর খাবার দোরে দিতে হবে এতেকরে খাবারে ফাঙ্গাস বা ছএাক জন্মাবেনা।


চিকিৎসা পদ্ধতি ১ঃ

Avinex ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম

চিকিৎসা পদ্ধতি ২ঃ

Acimac 1% ১ লিটার পাবিতে ১ এম.এল


এখান থেকে যেকোন একটা পদ্ধতি অবলম্বন করলেই হবে ইনশাআল্লাহ্।অনেকে নিম পাতা এবং চিরতা ব্যাবহার করে থাকে কিন্তু সেগুলো ভালো কাজ করেনা।


সতর্কতাঃ

১ঃআবহাওয়া গরম এমন সময়ে কোন ভাবেই কৃমির ঔষধ ব্যাবহার করা যাবেনা।

২ঃকৃমির ঔষধ ব্যাবহারের আগে এবং পরে একটানা ৫ দিন লিভার টনিক ব্যাবহার করতে হবে এবং কৃমির ঔষধ দেওয়ার পরের দিন স্যালাইন দিতে হবে।

৩ঃঔষধ শুধুমাএ কৃমি দমন করে কৃমির ডিম নয় তাই একবার কৃমির ঔষধ দেওয়ার ১৫ দিন পরে পুনোরায় আবারো কৃমির ঔষধ ব্যাবহার করতে হবে এতে করে প্রথমবার দেওয়ার সময় যে ডিমগুলো অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছিলো সেগুলো থেকে হওয়া বাচ্চাগুলোও মারা যাবে।


কবুতরের সবুজ-চুনা পায়খানা হলে কি করবেন জানতে ক্লিক করুন 


তথ্য সংগ্রহঃউইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।


প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।


সবার সুস্বাস্হ্য কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।

সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম। 

*****************THANK YOU****************




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Hameco Ph কবুতরের সালমোনিলা বা প্যারাটাইফোয়েড রোগ এর চিকিৎসা ২০২১।

কবুতরের ঠান্ডা বা সর্দি কাশির চিকিৎসা।

Bombay || বোম্বে কবুতরের দাম জাত পরিচিতি এবং বিভিন্ন অজানা তথ্য।