অল্পবয়স্ক বাচ্চা মারা যাওয়ার কারন এবং প্রতিকার ২০২১।
আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো কবুতরের বাচ্চচা অল্প বয়সে কেন মারা যায় এবং এর সমাধান সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।
নতুন খামারি বা পালকেরা এই সমস্যাটি লক্ষ্য করলেই মনে করে বসে যে এটি মনেহয় বড় কোন রোগ কিন্তু না।
বিসেসগগদের মতে শতকরা ৫% বাচ্চা মারা যাবেই এটা প্রকৃতির নিয়ম এর কোন চিকিৎসা নেই।
শতকরা ২০% বাচ্চার মৃত্যু হয় বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের কারনে যেমনঃPigeon Yong Bird Sickness,Circo Virus,Pigeon Chlamydia,Fangal Infraction ইত্যাদি।
আর বাকি ৮০% বাচ্চার মৃত্যু ঘটে খামারী বা পালকদের অবহেলা ও অজত্নের কারনে।তাই এটাকে যটিল কোন সমস্যা হিসেবে গন্য করার আগে ুএটা জানতে ও বুঝতে হবে যে এর পিছনে আপনার অবহেলা অযত্ন দায়ী কিনা।
তো চলুন যেনে নেই যে বাকি ৮০% বাচ্চা কেন মারা যায়ঃ
১ঃবাচ্চাকে বাবা-মা খাওয়াচ্ছে কিন্তু বাচ্চা নিজে-নিজে খাচ্ছেনা।যেহেতু খাচায় কবুতর পালন করলে বাচ্চার বয়স আনুমানেক (১৭-১৮) দিন হলেই কবুতর পুনরায় ডিম দিয়ে দেয়।নতুন বাচ্চা ফুটার পরে আগের বাচ্চার প্রতি কিছুটা অনিহা চলে আসতে পারে কারন বাবা-মা চায় যে বাচ্চার খাবার বাচ্চা নিজেই খাবে কিন্তু মাঝে-মাঝে তারাও কিছুটা খাইয়ে দিবে।যখন বাচ্চার বয়স এমন হয় তখন যদি বাচ্চা নিজে-নিজে না খায় তাহলে বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।এবং সঠিক পরিচর্যা না পেলে বাচ্চা মারাও যেতে পারে।
২ঃবাচ্চাকে মা-বাবা ঠিকমতো না খওয়ালে।
৩ঃদুই বাচ্চার জন্মের সময়ের মধ্যেকার সময় ব্যাবধান থাকলে। এমনটি হলে প্রথম বাচ্চাটা সকল খাবার একাই খেয়ে নেয় ফলে ২য় তথা ছোট বাচ্চাটি খাবার না পেয়ে শুকিয়ে যায় এবং সঠিক পরিচর্যা না পেলে একপর্যায়ে মারা যায়।
৪ঃঅপুষ্ট ডিম থেকে জন্ম নেয়া বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই থাকেনা বলা চলে তাই ছোটে-খাট কারনেই বাচ্চা মারা যায়।
৫ঃবাবা-মায়ের মুখে ক্যাংকার (সাদা বা হলুদ ঘা) থাকলে। বাবা-মায়ের মুখে ক্যাংকার থাকলে বাচ্চাকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারেনা এমনকি নিযেরাও ভালোভাবে খেতে পারেনা।কিছু-কিছু সময়ে দেখা যায় যে বাবা-মায়ের থেকে ক্যাংকার সংক্রামনের শিকার হয় বাচ্চারা এই কারনেও বাচ্চা মারা যেতে পারে।
৬ঃপরিচছন্নতার অভাবে বিভিন্ন পোকামাকড় বা সাপ বেজির আক্রমনে।
উপরে উল্লিখিত কারনগুলোর থেকে রক্ষার উপায়ঃ
১ঃমনে রাখবেন সুস্থ বাচ্চা পেতে হলে বাবা-মাকে সুস্থ রাখতে হবে তাদেরকে সুষম খাবার দিতে হবে।তাদেরকে সময় দিতে হবে।
২ঃবাচ্চা নেওয়ার জন্য কবুতর জোরা মিলানোর আগে অবশ্যই কৃমি,ক্যাংকার এবং ভিটামিনের ঔষধ কোর্স করিয়ে নিতে হবে।
কৃমির জন্য ব্যাবহার করতে পারেন AVINEX বা ACIMAC 1%
AVINEX লিটারে ১ গ্রাম একদিন।
ACIMAC 1% লিটারে ১ মি.লি. একদিন।
ক্যাংকার এর জন্য ব্যাবহার করতে পারেন AMODIS SYRUP (মানুষের ঔষধ) বা TWO PLUS (ভেট ঔষধ)
লিটারে ২-৩ লি.লি. করে একটানা ৫ দিন।
আর ভিটামিনের জন্য ব্যাবহার করতে পারেন HIPRACHOK AMINO বা BOOSTBRYD উভয় ঔষধ ই সিরাপ আকারে পাওয়া যায়।
লিটারে ২মি.লি. করে একটানা ৫ দিন।
৩ঃবাচ্চা কে দিনে সর্বনিম্ন ১ ঘন্টা রোদে রাখতে হবে।
৪ঃকবুতর যখন প্রথম ডিমটা দিবে তখন ঐ ডিমটিকে তুলে রাখতে হবে এবং ঐখানে একটা প্লাস্টিকের নকল ডিম রেখে দিতে হবে।তারপর যখন কবুতর ২য় ডিমটা দিবে তখন আসল ডিম দুটি একসাথে রেখে ঐ নকল ডিমটা সরিয়ে নিতে হবে। এতে করে বাচ্চা বড়-ছোট হওয়ার কোন সুযোগ থাকবেনা। ফলে না খেতে পেয়ে বাচ্চা মারা যাবে না।
৫ঃখামার বা লফ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি খামার বা লফ্টের আশেপাশে যদি কোন জঙ্গল থেকে থাকে তাহলে তা পরিষ্কার করতে হবে যাতে সাপ,বেজি বা অন্নান্য কিছু আপনার ক্ষতি না করতে পারে।
GATHER MORE KNOWLEDGE ABOUT PIGEON-WIKIPEDIA
তথ্য সংগ্রহঃউইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।
প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।
সবার সুস্বাস্হ্য কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।
সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম।
*****************THANK YOU****************
মন্তব্যসমূহ