Berlin/German Long Faced Tumbler || বার্লিন লং ফেইসড্ টাম্বলার (Highflyer) কবুতরের দাম জাত পরিচিতি এবং বিভিন্ন অজানা তথ্য।
আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি
আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো German Long Faced Tumbler কবুতর সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।
জাতের নামঃBerlin Long Faced Tumbler(Highflyer)
জাতের ধরনঃHighflyer
বৈজ্ঞানিক নামঃColumba livia
উতপওি স্থানঃBerlin/Germany
Berlin Long Faced Tumbler Highflyer জাতের খুবই সুপরিচিত একটি জাত।ধারনা করা হয় ১৯৯০ সালের দিকে জার্মানির রাজধানী বারলিনে এদের প্রথম দেখা গিয়েছিলো।
এদের নামকরন মূলত হয়েছে এদের লম্বা চেহারার কথা মাথায় রেখে।এই জাতের কবুতর অন্য সকল জাতের কবুতরের মতো না, এদেরকে দেখতে অনেকটা বকের মতো।এদের যত্ন নিতে পারলে সকাল-সন্ধ্যা উরতে পারে।
এখন Germany সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই জাতের কবুতর পাওয়া যায়,বাংলাদেশেও এই জাতের কবুতরের কদর রয়েছে।এরা খুবই নম্র সভাবের অধিকারী।সকল জাতের কবুতরের মতো এরাও Rock Pigeon বা জালালি কবুতরের বংশধর।
দৈহিক বর্ননাঃ
আকারঃএরা মাঝারি আকারের একটি জাত।
মাথা: এদের মাথা বড় এবং লম্বা আকারের,মাথায় কোন ঝুটি থাকেনা।
ঠোট লম্ববা এবং উজ্জল লাল রঙের হয়ে থাকে।
চোখ সাদা এবং লাল রঙের মিসরন থাকে,চোখের চারিপাশে লাল পট্টি থাকে।
বুক:এদের বুক চিকন এবং হাল্কা
লেজ: এদের লেজ মাঝারি আকারের হালকা এবং সুগঠিত।
পাখাঃএদের পাখা বড় এবং অনেক শক্তিশালী যা এদেরকে অনেক উপরে অনেকক্ষন নাগাদ উরতে সাহায্য কর।
গলাঃএদের গলা লম্বা আকারের হয়ে থাকে অনেকটা বকের মতো।
পা: এদের পা লম্বা এবং এদের পায়ে মুজা বা Muff থাকেনা এবং পা উজ্জল লাল রঙের হয়ে থাকে।
ব্যাবহারঃএদেরকে পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সকাল-সন্ধ্যা উরানো এবং ভালো রেজাল্ট করা।
অন্যান্যঃএদের গড় ওজন ৪৮০ থেকে ৫৮০ গ্রামএবং গড় আয়ু ৭ থেকে ১০ বছর।
কালার বা রঙঃকালো,সাদা,লাল,হলুদ,জিরাগলা ইত্যাদি।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃসাদা বাদে সকল কালারের কবুতরের ঠোটের নিচে সাদা থাকে।
pictures:Collected |
Pictures:Collected |
পালন পদ্ধতিঃএই জাতের কবুতর যেহেতু Highflyer তাই এদেরকে ছেরে পালন করতে হবে এবং সুষম খাদ্য দিতে হবে,আর মনে রাখবেন এদেরকে যতটা সম্ভব ভোরে উরাবেন কারন এদেরকে যদি দেরি করে ছারা হয় এবং উরানো হয় ডাহলে এরা যেহেতু Extreme Highflyer তাই সহজে নামতে চায়না ফলে দেখা যায় রাএিবেলায় ও উরে এবং অন্য কারো ছাদে গিয়ে বসলে তারা ধরে রাখতে পারে এবং আরো অন্যান্য বিপদ হতে পারে।
বংশবৃদ্ধিঃ এরা খুব ভালো ডিম বাচ্চা করে। তবে কিছু-কিছু সময়ে এদের ডিম ফুটানো এবং বাচ্চা পালন করে বড় করার দাইত্ব দিতে হয় অন্য কবুতরকে ঠিক যেমন মানুষের বাচ্চা দওক দেওয়া হয় যাদের কাছে দওক দেওয়া হয় তাদেরকে বলা হয় ফোস্টার কবুতর।
এবার আশা যাক কাজের কথায় যে এরা বছরে কতবার বংশবৃদ্ধি করেঃ
এর সঠিক উওর হচ্ছেঃএরা বছরে ৫ থেকে ৬ বার বংশবৃদ্ধি করতে পারে তবে ফোস্টার করলে আরো বেশি বংশবৃদ্ধি করানো সম্ভব।
ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
তথ্য সংগ্রহঃ
নিজ অভিজ্ঞতা,উইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।
লেখকঃ
ঈদী আমিন আবিদ (এডমিন)।
প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।
সবার সুস্বাস্হ্য কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।
সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম।
*****************THANK YOU****************
মন্তব্যসমূহ