চিলা/Chila কবুতর এর দাম জাত পরিচিতি ইতিহাস এবং বিভিন্ন অজানা তথ্য ২০২১।

চিলা কবুতর

 আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো
Chila কবুতর সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।


জাতের নামঃচিলা/Chila

জাতের ধরনঃFlying

বৈজ্ঞানিক নামঃColumba livia

উতপওি স্থানঃBangladesh



আমাদের দেশে স্বাধারনত তিন ধরনের কবুতর পাওয়া যায়

যেমনঃগ্রীবাজ,হোমা,গোলা এবং ফেন্সি

এখান থেকে একমাএ গ্রীবাজ কবুতর-ই এমন একটি জাত যেই জাতের কবুতর ঢাকার প্রায় প্রতিটি ছাদে দেখা যায় আর চিলা হলো গ্রীবাজ জাতের একটি প্রজাতি মাএ আপনাদের বুঝার সারথে একটি উদাহরণ দিচ্ছি।


উদাহরনঃধরুন আপনার বাসায় একটি গাছ আছে সেটা হতে পারে পেয়ারা গাছ হতে পারে আম গাছ হতে পারে সেটা কাঠাল গাছ বা অন্য কোন গাছ।এখন আপনি যদি গাছটার দিকে দৃষ্টিপাত করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে সেই গাছের গোড়া বা মূল একটাই কিন্তু শাখা প্রশাখা অনেক এখন আপনি চাইলেও এটা বলতে পারবেন না যে সেই শাখা সেই গাছের অংশ নয়।এখানে গ্রীবাজ হলো সেই গোড়া বা মূল আর চিলা,সবুজ গলা,খয়েরী গলা,লাল গলা,বেজী গলা বাঘা,কালো গলা ইত্যাদি এগুলো হলো সেই শাখা প্রশাখা আশা করি বুঝাতে পেরেছি।


চিলা কবুতরের ইতিহাস

চিলা কবুতর এখন জত সুন্দর দেখতে লাগে এই জাতটা আগে এতটা সুন্দর ছিলোনা।কারন আসল চিলা কবুতর যেটা সেটা দেখতে এতটা সুন্দর না যতটা সুন্দর আজকের দিনের চিলা কবুতর।

 অথচ আসল চিলা কবুতরকে এখন বলা হয় ফাটা চিলা এবং ফাটা চিলাকে বলা হয় আসল চিলা।এখানে ব্যাপারটা হলো আসল চিলা কবুতর পুরোপুরি লাল হয়না শরীরের কিছু-কিছু অংশে সাদা পশম থাকে কিন্তু মানুষ যখন পুরোপুরি টকটকে লাল চিলা কবুতর পছন্দ করতে শুরু করলো তখন চিলা কবুতরের দাম হুর হুর করে বাড়তে বাড়তে একরকম আকাশ ছুয়ে ফেলে।

অতপর যা হওয়ার ছিলো তাই হলো দাম বেড়ে যাওয়ায় সবাই ক্রস করে টকটকে লাল চিলা কবুতর বানাতে এবং ব্যাবসায় করতে লাগলো এভাবেই চিলা কবুতরের আসল পরিচয় এখন হারিয়ে যাওয়ার চোরগোড়ায় এসে ঠেকেছে।



দৈহিক বর্ননাঃ

এটা মাঝারি আকারের এবং শক্তিশালী একটি জাত।এদের রয়েছে শক্তিশালী পাখা,লেজ এবং চোখ যা এদেরকে উরতে এবং ল্যান্ড করতে সাহায্য করে।


ব্যাবহারঃ এদের জাত উন্নয়ন করা হয়েছে উরানোর জন্য আর এখনো এটাই বিদ্যমান আছে।



গড় আয়ুঃ এদের আনুমানিক গড় আয়ু ৭ থেকে ১০ বছর।



দামঃআগে যদিও চিলা কবুতরের দাম আকাশ ছোয়া ছিলো কিন্তু এখন ২ থেকে ৫ হাজার টাকা হলেই ভালো মানের এক জোরা পূর্ণবয়ষ্ক চিলা কবুতর পাওয়া যায়।


কালারঃলাল চিলা,কালো চিলা,খয়েরী চিলা এবং সাফ চিলা।

চিলা কবুতর




বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ

চিলা মূলত কোন জাতের নাম নয় এটা মূলত চিলা কবুতরের মধ্যে আমরা যেটাকে লাল চিলা বলি সেই কালারের নাম।

চিলা কবুতর খুবই পরিশ্রমী এবং ভালোমাবের হাইফ্লায়ার কবুতর এদের যথাযথ যত্ন নেয়া হলে ৩ থেকে ৭ ঘন্টা পর্যন্ত উরতে পারে এবং পাল্লা বা রেসেও এরা ভালে ফলাফল করে।


পালন পদ্ধতিঃএদেরকে ছেরে পালন করতে হবে এবং সুষম খাদ্য দিতে হবে।

তবে ডিম-বাচ্চা করার জন্য খাচায় পালন করা উওম।


আর মনে রাখবেন এদেরকে যতটা সম্ভব ভোরে উরানো উওম কারন কিছু-কিছু চিলা কবুতর Extreme Highflyer হয় তাই একবার আকাশে উড়লে সহজে নামতে চায়না ফলে দেখা যায় রাএিবেলায় ও উরে এবং অন্য কারো ছাদে গিয়ে বসলে তারা ধরে রাখতে পারে এবং আরো অন্যান্য বিপদ হতে পারে। 





বংশবৃদ্ধিঃ এরা খুভ ভালো ডিম-বাচ্চা করে এবং নিজেদের পুরো বংশবৃদ্ধি প্রকৃয়া নিজেরাই পরিচালনা করতে পারে।

এবার আশা যাক কাজের কথায় যে এরা বছরে কতবার বংশবৃদ্ধি করেঃ

এর সঠিক উওর হচ্ছেঃএরা বছরে ৫ থেকে ৬ বার বংশবৃদ্ধি করতে পারে তবে ফোস্টার করলে আরো বেশি বংশবৃদ্ধি করানো সম্ভব।



ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

তথ্য সংগ্রহঃ
নিজ অভিজ্ঞতা,উইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।

লেখকঃ
ঈদী আমিন আবিদ (এডমিন)।


প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।

সবার সুস্বাস্হ্য কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।

সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম। 

*****************THANK YOU****************

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Hameco Ph কবুতরের সালমোনিলা বা প্যারাটাইফোয়েড রোগ এর চিকিৎসা ২০২১।

Boostbryd-N কবুতরের জন্য সেরা Multivitamin (মাল্টিভিটামিন) ২০২১।

কবুতরের ঠান্ডা বা সর্দি কাশির চিকিৎসা।