ঘিয়া-সুল্লি কবুতর এর দাম জাত পরিচিতি এবং বিভিন্ন অজানা তথ্য।

ঘিয়া সুল্লি কবুতর

 আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো ঘিয়া-সুল্লি কবুতর সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।


জাতের নামঃঘিয়া-সুল্লি

জাতের ধরনঃFlying

বৈজ্ঞানিক নামঃColumba livia

উতপওি স্থানঃBangladesh



আমাদের দেশে স্বাধারনত তিন ধরনের কবুতর পাওয়া যায়।


যেমনঃগ্রীবাজ,হোমা,গোলা এবং ফেন্সি

এখান থেকে একমাএ গ্রীবাজ'ই এমন একটি জাত যেই জাতের কবুতর ঢাকার প্রায় প্রতিটি ছাদে দেখা যায় আর ঘিয়া-সুল্লি হলো গ্রীবাজ জাতের একটি প্রজাতি মাএ আপনাদের বুঝার সারথে একটি উদাহরণ দিচ্ছি।


উদাহরনঃধরুন আপনার বাসায় একটি গাছ আছে সেটা হতে পারে পেয়ারা গাছ হতে পারে আম গাছ হতে পারে সেটা কাঠাল গাছ বা অন্য কোন গাছ।এখন আপনি যদি গাছটার দিকে দৃষ্টিপাত করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে সেই গাছের গোড়া বা মূল একটাই কিন্তু শাখা প্রশাখা অনেক এখন আপনি চাইলেও এটা বলতে পারবেন না যে সেই শাখা সেই গাছের অংশ নয়।এখানে গ্রীবাজ হলো সেই গোড়া বা মূল আর চিলা,সবুজ গলা,খয়েরী গলা,কালদম,লাল গলা,বেজী গলা বাঘা,কালো গলা,চুইনা,ঘিয়া-সুল্লি ইত্যাদি এগুলো হলো সেই শাখা প্রশাখা আশা করি বুঝাতে পেরেছি।


প্রাসঙ্গিক কথাঃ

ঘিয়া-সুল্লি হলো গ্রীবাজ কবুতরের সবথেকে পুরাতন এবং জনপ্রিয় জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। এক সময়ে ঘিয়া-সুল্লি কবুতরের প্রচুদ দামছিলো কিন্তু এখন এই জাতের কবুতর Common হয়ে যাওয়ার কারনে দাম'ও কমে গিয়েছে।



এই প্রজাতির কবুতর দেখতে যেমন সুন্দর উরাতে এবং পাল্লায়'ও ভালো।এদের অপরূপ সৌন্দর্য্যের কারনে অনেকেই শুধুমাএ দেখার সৌন্দর্যের জন্য এদেরকে পালক করে থাকে আর যদি ঝুটি এবং মুজা থাকে তাহলেতো সানায় সোহাগা


আসল ঘিয়া-সুল্লি কবুতর চিনার উপায়ঃ

ঘিয়া সুল্লি কবুতরের ঠোটের উপর থেকে শুরু করে লেজের শেষ অবধী ঘিয়া রঙের থাকবে এবং ঠোট,নখ সাদা থাকবে।

তবে কালার ঠিক থাকলেই কোন কবুতরের ভালো কিংবা খারাপ দিক বুঝা যায় না।বরং এটা বুঝতে হলে কবুতরের চোখের দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। নিচে ঘিয়া-সুল্লি সহ যেকোন আসল কবুতরের চোখে কি দেখতে হবে সেটা দেওয়া হলো👇।


চোখঃ

চোখ তেমন কোন বিষয় না আবার অনেক বড় বিষয়।

কারন অনেক খারাপ চোখের কবুতর ও অনেক ভালো উরে এবং ছারলেও আসে।

 অবশ্যই চোখের চারিদিকে যে রিং টা থাকে সেটা পরিপূর্ণ থাকতে হবে,কেননা ক্রসিং করা হলে সেই রিং টা হালকা হতে থাকে এবং এক সময় পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায় তাই রিং যত স্বচ্ছ এবং মোটা হবে বুঝতে হবে কবুতর ঠিক ততটাই Original


দৈহিক বর্ননাঃ

এটা মাঝারি আকারের এবং শক্তিশালী একটি জাত।তবে কিছু কবুতর অবেক বড় আকারের'ও হয়ে থাকে।এদের রয়েছে শক্তিশালী পাখা,লেজ এবং চোখ যা এদেরকে উরতে এবং ল্যান্ড করতে সাহায্য করে।


ব্যাবহারঃ এদের জাত উন্নয়ন করা হয়েছে উরানোর জন্য কিন্তু এখন পাল্লা'ও করা হয়। 


গড় আয়ুঃ এদের আনুমানিক গড় আয়ু ৭ থেকে ১০ বছর।তবে এর অধিক বয়সি ঘিয়া-সুল্লি কবুতর'ও দেখা গিয়েছে।



দামঃঘিয়া-সুল্লি কবুতরের দাম নির্ভর করে কালার,কতক্ষন উরতে পারে এবং ব্রিডারের উপর তাই এদের সঠিক দাম বলাটা কঠিন বিষয় তবে 

আনুমানিক ২ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে মোটামুটি মানের ঘিয়া-সুল্লি কবুতর পাওয়া যায় তবে এর অধিক দামে'ও বিক্রি হতে দেখা গেছে।



বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ

ঘিয়া-সুল্লি কবুতর যেহেতু কালারিং বা রঙিন কবুতর তাই অনেকে ভাবে যে এই জাতের কবুতর বেশিখন উরতে পারেনা বা পাল্লায় আসেনা।আসলে এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা এবং ভুল ধারনা ছারা আর কিছুইনা।কারন জাত ভালো হলে এবং যথার্থ যত্ন নিতে পারলে ঘিয়া-সুল্লি কবুতর ৪-৫ ঘন্টা+ উরতে পারে এবং ৩০-৪০ কিলোমিটার পাল্লায় এদের ভালো ফলাফল ও আছে।



বংশবৃদ্ধিঃ

ঘিয়া-সুল্লি কবুতর খুব ভালো ডিম-বাচ্চা করে এবং নিজেদের পুরো বংশবৃদ্ধি প্রকৃয়া নিজেরাই পরিচালনা করতে পারে।

এবার আশা যাক কাজের কথায় যে এরা বছরে কতবার বংশবৃদ্ধি করেঃ

এর সঠিক উওর হচ্ছেঃএরা বছরে ৫ থেকে ৬ বার বংশবৃদ্ধি করতে পারে তবে ফোস্টার করলে আরো বেশি বংশবৃদ্ধি করানো সম্ভব।



ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

তথ্য সংগ্রহঃ
নিজ অভিজ্ঞতা,উইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।

লেখকঃ
ঈদী আমিন আবিদ (এডমিন)।


প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।

সবার সুস্বাস্হ্য কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।

সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম। 

*****************THANK YOU****************

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Hameco Ph কবুতরের সালমোনিলা বা প্যারাটাইফোয়েড রোগ এর চিকিৎসা ২০২১।

Boostbryd-N কবুতরের জন্য সেরা Multivitamin (মাল্টিভিটামিন) ২০২১।

কবুতরের ঠান্ডা বা সর্দি কাশির চিকিৎসা।