Egyptian Moraslat || মিশরীয় মুরস্লাত কবুতরের দাম জাত পরিচিতি এবং বিভিন্ন অজানা তথ্য।
 |
| Picture:Collected |
আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি
আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো Egyptian Moraslat কবুতর সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।
জাতের নামঃEgyptian Moraslat
জাতের ধরনঃExcibition
বৈজ্ঞানিক নামঃColumba livia
উতপওি স্থানঃEgypt
Egyptian Moraslat ফেন্সি/Fancy জাতের খুবই সুপরিচিত এবং দৃষ্টিনন্দন একটি জাত।এরা দেখতে অনেকটাই Elecetus Parrot এর মতো।
ধারনা করা হয় বহুকাল পূর্বে মিশরে এদের প্রথম দেখা গিয়েছিলো এবং পরবর্তীতে জিনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে এদের জাত উন্নয়ন করা হয়েছিলো।এখন মিশর সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই জাতের কবুতর পাওয়া যায়,বাংলাদেশেও এই জাতের কবুতরের কদর রয়েছে।এদের জনপ্রিয়তার মূল কারন হলো এদের তোতার মতো বাকানো ঠোট।সকল ধরনের আবহাওয়াতেই এরা নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারে।সকল জাতের কবুতরের মতো এরাও Rock Pigeon বা জালালি কবুতরের বংশধর।
দৈহিক বর্ননাঃ
আকারঃএরা বড় আকারের একটি জাত।
মাথা: এদের মাথা বড় এবং, প্রশস্ত এবং মাথায় কোন রকম ঝুটি বা Crest থাকেনা,নাক বড়,চোখ উজ্জল চোখের চারিপাশে ফুল থাকে,এবং কপাল হতে শুরু করে ঠোটের আগা পর্যন্ত নিচের দিকে বাকানো থাকে।
বুক:এদের বুক বড়,মাংসাল এবং চওড়া।
লেজ: এদের লেজ মাঝারি আকারের এবং সুগঠিত।
পাখাঃএদের পাখা শক্ত এবং শক্তিশালী যা এদেরকে অনেকখন উরতে সাহায্য করে।
ঘারঃএদের ঘার বড়।
পা: এদের পা মাঝারি এবং এদের পায়ে মুজা বা Muff থাকেনা এবং পা উজ্জল লাল রঙের হয়ে থাকে।
ব্যাবহারঃএই জাতের কবুতর Excibition এর জন্য ব্যাবহার হয়।
দামঃ
বাচ্চাঃআনুমানিক ২২,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা।
বড়ঃআনুমানিক ৭০,০০০ থেকে ৯০,০০০ টাকা।
কালার বা রঙঃকালো,সাদা,ব্লু বার,ব্লু বারলেস,গ্রে বার,গ্রে বারলেস ইত্যাদি।
 |
| Pictures:Collected |
পালন পদ্ধতিঃ
Egyptian Moraslat কবুতর খুবই সৌখিন এবং মূল্যবান একটি জাতের কবুতর আর কোনো সৌখিন কবুতর পালক-ই চাইবেনা যে তার শখের মূল্যবান কবুতরটি হারিয়ে যাক বা চুরি হয়ে যাক।তাই জারা সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পালন করবে তারা অবশ্যই খাচায় পালন করবে।
আর এমনিতেই ফেন্সি কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যসব কবুতরের তুলনায় দুর্বল হয়ে থাকে।কারন বিভিন্ন ধরনের কবুতরের Selective Breeding এর দ্বারা এদের জন্ম হয়।
তাই এদেরকে মুক্ত করে বা ছেরে পালন করার থেকে খাচায় আবদ্ধ করে পালন করাই উওম।কারন এদের রোগ প্রতিরোধ খমতা যেহেতু কম তাই এরা সামান্যতেই অসুস্থ হয়ে পরে খাচায় পালন করলে তারা সবসময় তাদের পালনকর্তার চোখের সামনে থাকে তাই তাদের সমস্যা বুঝে চিকিৎসা দেওয়াটা সহজ হয়।
তাই আমি বলবো এদেরকে খাচায় পালন করুন এবং নিয়মিত সুষম খাদ্য দিন এবং নিশ্চিত থাকুন😇।
প্রায় সকল ধরনের ফেন্সি কবুতর-ই অন্নান্য স্বাধারন কবুতরের তুলনায় কম গতিতে বংশবৃদ্ধি করলেও এরা খুব ভালো ডিম বাচ্চা করে। তবে কিছু-কিছু সময়ে এদের ডিম ফুটানো এবং বাচ্চা পালন করে বড় করার দাইত্ব দিতে হয় অন্য কবুতরকে ঠিক যেমন মানুষের বাচ্চা দওক দেওয়া হয় যাদের কাছে দওক দেওয়া হয় তাদেরকে বলা হয় ফোস্টার কবুতর।
এবার আশা যাক কাজের কথায় যে এরা বছরে কতবার বংশবৃদ্ধি করেঃ
এর সঠিক উওর হচ্ছেঃ অভিজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া ভালো।
ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
তথ্য সংগ্রহঃ
নিজ অভিজ্ঞতা,উইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।
লেখকঃ
ঈদী আমিন আবিদ (এডমিন)।
প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।
সবার সুস্বাস্হ্য কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।
সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম।
*****************THANK YOU****************
মন্তব্যসমূহ