German Nun/জার্মান নান কবুতরের দাম জাত পরিচিতি এবং বিভিন্ন অজানা তথ্য।
আরো একবার সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি
আজকের আলোচনা।আজ আমি আলোচনা করবো German Nun কবুতর সম্পর্কে।তো চলুন শুরু করা যাক।
জাতের নামঃGerman Nun/Duch Shell
জাতের ধরনঃFancy/ফেন্সি
বৈজ্ঞানিক নামঃColumba livia
উতপওি স্থানঃGermany/জার্মানি
German Nun কবুতর পুরো পৃথিবীতেই সমান ভাবে জনপ্রিয় এবং দৃষ্টিনন্দন একটি জাত।বাংলাদেশেও এই জাতের কবুতরের কদর রয়েছে।এই জাতটি মূলত প্রায় তিন'শ বছর আগে ১৭০০ দশক শুরুর দিকে জার্মানির কবুতর পলকেরা জিনেটিক ইন্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জাতটি উদ্বভান করেছিলেন।সকল ধরনের আবহাওয়াতেই এরা নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারে তবে কিছু-কিছু সময়ে সমস্যা হয়।অন্যান্য সকল জাতের কবুতরের মতো এরাও Rock Pigeon বা জালালি কবুতরের বংশধর।
দৈহিক বর্ননাঃ
আকারঃএরা মাঝারি আকারের একটি জাত।
মাথা: এদের মাথা ছোট কিছুটা গোলাকার এবং মাথায় একটা বড় ঝুুুুটি থাকে।
চোখ: এদের উজ্জ্বল রঙের এবংপট্টি হালকা এবং সূক্ষ্ম।
বুক:এদের বুক মাঝারি আকারের হয়ে থাকে।
লেজ: এদের লেজ মাঝারি আকারের এবং সুগঠিত।
ঘারঃএদের ঘার মাঝারি আকারের হয়ে থাকে।
পা: এদের পা মাঝারি এবং এদের পায়ে মুজা বা Muff থাকেনা এবং পা উজ্জল লাল রঙের হয়ে থাকে।
পালক: এদের পুরো শরীরের পালক-ই মসরিন।
অন্যান্যঃএদের গড় উচ্চতা ১৫ থেকে ১৭ সে.মি এবং গড় আয়ু ৭ থেকে ১০ বছর।
ব্যবহারঃএদের জাত উন্নয়ন করার পেছনে মূল কারন হলো Excibition এ অংশ নেয়া।প্রতিবছর এই জাতের কবুতরের Excibition অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে অভিজ্ঞ বিচার কেরা তাদের তিক্ষণ নজর দ্বারা ১ম,২য় এবং তৃতীয় স্থান নির্বাচন করেন এবং ঐ কবুতরের ফেন্সিয়ারদের পুরস্কৃত করা হয়।
যদিও বর্তমানে এদেরকে শুধুমাএ Excibition এ ব্যবহার করা হয় কিন্তু এই জাতের কবুতরের উদ্ভাবন করা হয়েছিলো উরানোর জন্য।এরা খুবই ভালো উরতে পারে।
কালার বা রঙঃash-grey, black, coffee-brown, light blue, red, silver and yellow
দামঃএদের দাম নির্ভর করে এদের সাইজ,কালার,ব্রিডার ইত্যাদির ওপর৷তাই এদের দাম নির্দিষ্ট করে বলা খুবই কঠিন।তবে আনুমানিক ২৫,০০ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।
পালন পদ্ধতিঃ
German Nun কবুতর খুবই সৌখিন এবং মূল্যবান একটি জাতের কবুতর আর কোনো সৌখিন কবুতর পালক-ই চাইবেনা যে তার শখের মূল্যবান কবুতরটি হারিয়ে যাক বা চুরি হয়ে যাক।তাই জারা সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পালন করবে তারা অবশ্যই খাচায় পালন করবে।
German Nun যেহেতু উরতে পারে তাই কেউ জদি উরানোর জন্য পালন করে তাগলে অবশ্যই তারা মুক্তচারন পদ্ধতিতে পালন করবে।
শুধু GERMAN NUN কবুতর-ই নয় বরং সকল ফেন্সি কবুতর-ই অন্নান্য স্বাধারন কবুতরের তুলনায় কম গতিতে বংশবৃদ্ধি করে এবং এরা ডিমে তা দিতে এবং বাচ্চা পালন করতে তেমন পারাদর্শী হয় না। এদের ডিম ফুটানো এবং বাচ্চা পালন করে বড় করার দাইত্ব দিতে হয় অন্য কবুতরকে ঠিক যেমন মানুষের বাচ্চা দওক দেওয়া হয় যাদের কাছে দওক দেওয়া হয় তাদেরকে বলা হয় ফোস্টার কবুতর।
এবার আশা যাক কাজের কথায় যে এরা বছরে কতবার বংশবৃদ্ধি করেঃ
এর সঠিক উওর হচ্ছে অভিজ্ঞের থেকে যেনে নেওয়া ভালো।
ভুল এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
তথ্য সংগ্রহঃ
নিজ অভিজ্ঞতা,উইকিপিডিয়া,বিভিন্ন কবুতর সম্পর্কিত ব্লগ এবং কবুতর সম্পর্কিত বিভিন্ন বই।
লেখকঃ
ঈদী আমিন আবিদ (এডমিন)।
প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল পোষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং ভুলএুটি হলে দয়া করে আমাদেট ই-মেইলে যেগাযোগ করুন আশা করি অতিশিঘরই ভুলএুটি শংসোধন করা হবে।
সবার সুস্ব কামনা করে আজ এই পর্যন্তই দেখা হবে কোন এক সময়ে কোন এক জ্ঞানমুলক আলোচনায়।
সবাইকে আসসালামু-আলাইকুম।
*****************THANK YOU****************
মন্তব্যসমূহ